গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর এই ঈদ উৎসব এসেছে। এটি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর রহমতে প্রত্যেকটি ঈদের জামাত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের মানুষ আজকে আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছেন। ঈদ সবার জন্য আনন্দ বয়ে আনুক। প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ আসুক সেটাই আমরা চাই।
|
একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না, প্রত্যেককে পুনর্বাসন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার প্রত্যেককে পুনর্বাসন করবে সরকার। সুইডেনে তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অনির্ধারিত এক আলোচনায় তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক কিংবা যে কোনো দুর্যোগে কেবল তার দলই জনগণের পাশে দাঁড়ায়। আর আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমরা এর অনেক প্রমাণ রেখেছি।
|
বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসায় জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতি বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দুর্যোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সব সময় বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলার লড়াইয়ে প্রথম সারিতে দেখতে চান। এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতিতেও বাংলাদেশকে সামনের কাতারে আশা করেন তিনি। শান্তিরক্ষা ও শান্তিনির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
|
তৈরি পোশাক ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে আগ্রহী শীর্ষ সুইডিশ প্রতিষ্ঠান
সুইডেনের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী ‘ইনভেস্টর’ ও ‘এবিবি সুইডেনের’ প্রধান কর্তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইনভেস্টরের প্রেসিডেন্ট জ্যাকব ওয়ালেনবার্গ এবং এবিবি সুইডেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন সোডারস্টর্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সমৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীও দেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে তাদের অবহিত করেন।
|
একনেক সভায় ১২ প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ২৯তম সভায় ৩০ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে জিওবি ২৫ হাজার ৯০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪ হাজার ৪০৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ।
|
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ২৮ লক্ষ পরিবার উপকৃত
গ্রাম উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মহৎ লক্ষ্যে গৃহীত একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্পের আওতায় মোট ২৮ লাখ ৪৭টি সদস্য পরিবার উপকৃত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পেশাভিত্তিক কর্মসৃজনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। মোট ১৬ লাখ মহিলার ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকার স্থায়ী তহবিল গড়ে উঠেছে এবং বছরে প্রকল্পভুক্ত সদস্য প্রতি গড়ে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ হাজার ৯২১ টাকা।
|
বিদ্যুৎ পাবে আরো ২৭ লাখ গ্রাহক
পল্লী বিদ্যুতায়নের (আরইবি) মাধ্যমে নতুন ২৭ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসংক্রান্ত আলাদা দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন ২৭ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে মোট খরচ হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
|
সারাদেশে ‘জয়িতা’ বিপণন কেন্দ্র স্থাপন
সরকার নারী উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানে ‘জয়িতা’ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র নারী উদ্যোক্তাদেরকে তাদের পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। সরকার দেশের সকল জেলায় নিজস্ব অর্থায়নে ‘জয়িতা’ বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করবে। এতদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীরা টেকসই, মানসম্মত ও দৃষ্টিনন্দন অনেক পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করলেও তা সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ফলে সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।
|
উপকূলীয় ৫ জেলায় বনায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন
বন অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘বাংলাদেশের ৫টি উপকূলীয় জেলায় বনায়ন প্রকল্পে’র উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় গাছের চারা রোপণ করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে এ ৫টি জেলায় তাল, সুপারি, নারকেল, খেজুরসহ বিভিন্ন শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা রোপণ করা হবে। সরকারের অর্থায়নে বন বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
|