ই-গভার্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের আরও অগ্রগতি
তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গত কয়েক বছরের উন্নয়নের ফলে জাতিসংঘের ই-গভার্নমেন্ট সূচকে বড় উত্তরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। সেখানে ই-গভার্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে নয় ধাপ। ই-গভার্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সূচকে (ইজিডিআই) ০.৪৮৬২ স্কোর নিয়ে ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১১৫তম। আর ০.৮০৩৪ স্কোর নিয়ে ই-পার্টিসিপেশন (ইপিআই) সূচকে ৫১তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
|
একনেকে ৯ প্রকল্পের অনুমোদন
উপজেলাভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে ‘উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রনয়ন ও মৌলিক অবকাঠমো উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটিসহ মোট ৯টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ২৫৮ কোটি ৫৭ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৫২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
|
শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে ইউনিসেফর স্বীকৃতি
শূন্য থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিসেবার উন্নয়নের ফলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে ইতিমধ্যে এমডিজি অর্জন শেষে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
|
ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইন নির্মাণে চুক্তি
ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাফকন্স এবং কল্পতরু পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩৯৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান । আরও দুটি লাইন হলে কম সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চলতে পারবে এবং অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
|
ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৭০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৭০ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। এর বাইরে আরও ১৫০ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। শীঘ্রই এইসব উপজেলাও শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুবিধায় আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ এর মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার পূরণ করতে সকল উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হচ্ছে।
|
কল সেন্টার ‘সুখী-পরিবার’ উদ্বোধন
‘সুখী পরিবার’ নামে একটি কল সেন্টার স্থাপন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। যার নম্বর ১৬৭৬৭। এই নম্বরে কল দিলেই পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু স্বাস্থ্য, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ পাওয়া যাবে। জরুরী প্রসূতি সেবা ও বাল্যবিয়ে রোধের ক্ষেত্রেও কল সেন্টারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কল সেন্টারটি এমন একটি তথ্য কেন্দ্র যেখান থেকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে।
|
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ভাতাসমূহ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে (জিটুপি-গভমেন্ট টু পারসন) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। এই কর্মসূচির আওতায় প্রবীণ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বিধবাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৭ লাখ ভাতাপ্রাপ্ত মানুষ প্রতিমাসের নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ফোনে এসএসএম পাওয়ার পর সরাসরি ব্যাংক থেকে তাদের প্রাপ্ত ভাতা তুলতে পারবেন।
|
অনলাইনে করা যাবে কৃষিঋণের আবেদন
এখন থেকে প্রান্তিক চাষিরা অনলাইনে কৃষিঋণের জন্য আবেদন করতে পারবে। অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংকের যৌথ আয়োজনে কৃষি ও পল্লীঋণ সহজীকরণে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের আওতায় একটি ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ থেকে শুরু করে পুরো ঋণ বিতরণ কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
|
কৃষিপণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশ
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে অনুযায়ী বিগত অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশ। ইপিবির তথ্য অনুসারে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) কৃষিপণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ সালে কৃষিপণ্যে রফতানি আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার।
|
আসবাবপত্র রফতানি বেড়েছে ২০ শতাংশ
দেশের বাইরে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্র ও গৃহস্থলী পণ্য। গত এক দশক ধরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এর রফতানি আয়।ফলে বিশ্ববাজারে ইতোমধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র। এর ধারাবাহিকতায় বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আসবাবপত্র রফতানি ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলারের আসবাবপত্র রফতানি হয়েছে।
|
ভুটানের জনগণের জন্য ২০ কোটি টাকার ওষুধ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে ভুটান সফরের সময় সে দেশে ওষুধের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে এক বছরের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে ২০ কোটি টাকার ২৫৮ প্রকার ওষুধ সে দেশে পাঠানো হবে। এই ওষুধ সরবরাহের মধ্যদিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
|