আগামী ৫ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান, সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সরকার আগামী ৫ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এজন্য ব্যাপক শিল্পায়নের মাধ্যমে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ৮৮টির স্থান নির্বাচন শেষ হয়েছে।
|
বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে: এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, ৪৫টি দেশ নিয়ে গঠিত এশিয়া প্যাসিফিক অর্থনীতিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এশীয় উন্নয়ন আউটলুকে এডিবি বলেছে, ২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে যা ১৯৭৪ সালের পর সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণ। এডিবি তাদের এডিও’তে আভাস দিয়েছে যে, বাংলাদেশ ২০১৯ ও ২০২০ অর্থবছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে, যা হবে একটি নতুন রেকর্ড।
|
বাংলাদেশের উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী ডিএফআইডি
যুক্তরাজ্যের ‘ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ (ডিএফআইডি) আগামী এক দশকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ যুদিথ হার্বাস্টন। তিনি প্রতিবন্ধীদের জীবন মান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বয়স্ক, অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এদেশের সরকারের সাথে একসাথে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
|
একনেকে ৬,৯৬৭ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৬ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১০ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয়ের মধ্যে ৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা সরকারি, ২৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল ও ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বিদেশি উৎস থেকে আসবে। অনুমোদন হওয়া প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাস্তা প্রশস্তকরণসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন, রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপায়ন প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্প।
|
জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসহ ২০ হাজার অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে দু'জন করে স্বাস্থ্যকর্মী টিকা খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ব্রিজের টোলপ্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাটসহ ভ্রাম্যমাণ স্থানে তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করছেন।
|
বাড়ল পরিবার পরিকল্পনায় বরাদ্দ
আজকের উন্নয়নের পেছনে ভূমিকা রেখেছে, এমন কয়েকটি খাতের উল্লেখযোগ্য একটি হলো পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম। এ খাতে সরকার বেশি নজর দিচ্ছেন। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। নতুন অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি তথ্য মতে, সঠিক পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেক মাতৃমৃত্যু কমে আসবে। বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৭২ জনে নেমে এসেছে।
|
৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে
বর্তমানে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতে অনেক উন্নতি করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সম্প্রসারণের দিকে নজর দেয় সরকার। দেশে বর্তমানে ১৩২টি পাওয়ার প্লান্ট রয়েছে, আরও বড় বড় বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। দেশের ৯৩% মানুষ এখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন।
|
পাট খাতের উন্নয়নে ৩০০ কোটি টাকার তহবিল
পাট খাতে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ করে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কেনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০১৪ সালে পাঁচ বছর পর্যন্ত নবায়ন/আবর্তনযোগ্য ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়। সম্প্রতি উক্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের পরিমাণ আরও ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার এবং তহবিলটির মেয়াদ পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
|
নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করছে জেন্ডার বাজেট
সরকারি নীতি-কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করেছে। জেন্ডার বাজেট রিপোর্ট ২০১৯-২০ এ উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি নীতি-কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জেন্ডার সংবেদনশীলতা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করায় জেন্ডার গ্যাপ সূচকের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে জেন্ডার বাজেট চালুর পর থেকে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে।
|
এক বছরে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ
‘বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০১৯’-এর হিসাব অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২৫১ কোটি ১৬ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে সে বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাশের দেশ ভারতে ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩ হাজার ৯৯০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ২২৮ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। এতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে ৬ শতাংশ।
|
রেমিটেন্স ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হল বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার (১৬ বিলিয়ন) ছাড়িয়েছে। বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এক সপ্তাহ বাকি থাকতেই রেমিটেন্স এই অংক অতিক্রম করল। সবমিলিয়ে ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ মাসে ২১ দিনে (২০১৮ সালে ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ২১ জুন) এক হাজার ৬০৩ কোটি ২০ লাখ ডলার (১৬.০৩ বিলিয়ন) রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
|