৬ খাতের উন্নয়নে ২০ কোটি ইউরো দিচ্ছে জার্মানি
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষতা উন্নয়ন, শহরাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং ঢাকায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নসহ মোট ছয়টি খাতে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ইউরো দিচ্ছে জার্মান সরকার। এরমধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতা উন্নয়ন খাতে ১৫ কোটি ৬০ লাখ ইউরো, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ উন্নয়নে দেওয়া হবে ৪০ লাখ ইউরো এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন তহবিলে দেওয়া হবে ২০ লাখ ইউরো। এসব খাতে প্রকল্প গ্রহণ করে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
|
১৪ কোটি ২০ লাখ ইউরো অনুদান দিচ্ছে ইইউ
আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংহত করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নে সরকারকে ১৪ কোটি ২০ লাখ ইউরো অনুদান দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এ বিষয়ে একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করণে দেওয়া হবে ১ কোটি ইউরো, আর বাকি ১৩ কোটি ২০ লাখ ইউরো দেওয়া হবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
|
৫১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় একনেক সভায় ৫ হাজার ১৪২ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদন হওয়া প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ ঢাকা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’, ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প ২য় পর্যায়, এবং ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
|
বেপজার বিনিয়োগ,রফতানি ও কর্মসংস্থান লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে
সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ৮ টি ইপিজেডে বিনিয়োগ, রফতানি ও কর্মসংস্থান লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে চালু শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার, রফতানি হয়েছে ৭৫২ কোটি ৪১ লাখ ডলারের পণ্য এবং কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ১৯ হাজার ৫৪৮ বাংলাদেশির। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুসারে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ, ৬৫০ কোটি ডলার রফতানি আয় এবং ১৫ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
|
হাইটেক পার্কে ৭ দিনে মিলবে গ্যাস ও পানি সংযোগ
হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সাত দিনে গ্যাস ও পানি সংযোগ দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়ে এ খাতের ওয়ানস্টপ সার্ভিস (ওএসএস) আইনের বিধিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় ওএসএস সেন্টার স্থাপন ছাড়াও দেশের যেসব এলাকায় হাইটেক পার্ক হচ্ছে, সেগুলোতে আঞ্চলিক সেন্টার থাকবে। নির্দিষ্ট পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করে ডেভেলপার, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা সেবা পাবেন।
|
কৃষি ঋণ দেওয়া হবে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা
চলতি ২০১৯-২০ সালের জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিসহ ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকার মধ্যে ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা দেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো আর ১৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা দেবে বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এবারের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বিগত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।
|
নতুন বাজারে বেড়েছে পোশাক রফতানি
সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের প্রচলিত বাজার ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে উদীয়মান নতুন বাজারে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নতুন বাজারের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, জাপান, ভারত, চিলি, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্কসহ আরো কয়েকটি দেশ। নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে জাপানে। গত অর্থবছরে দেশটিতে তৈরি পোশাক রফতানি ২৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০৯ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রফতানি বেড়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ।
|
লক্ষ্যের ১৮.২২% বেশি সেবা রফতানি
সেবা রফতানিতে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে শেষ হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছর। এরমধ্যে ১১ মাসের জুলাই-মে সময়ের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যায়, সেবা রফতানি করে বাংলাদেশ ৫৪১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার আয় করেছে। এই অংক ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ। এই ১১ মাসে সেবা খাতের রফতানির লক্ষ্যমাত্র ধরা ছিল ৫০০ কোটি ডলার।
|
রেমিট্যান্স পাঠালেই প্রণোদনা
বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তাদের প্রত্যেককে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর এই প্রণোদনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে এজন্য আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এই প্রণোদনার ফলে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে এবং হুন্ডি ব্যবসা নিরুৎসাহিত হবে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিমা সুবিধার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
সাতটি আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য ৭টি আবাসন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনকালে সরকার সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি লোককেও বস্তিতে বসবাস করতে দিতে চাই না। আমরা রাজধানীর বস্তিবাসীর জন্য এখন ফ্লাট নির্মাণ করছি। এরমধ্যেই মিরপুরে ৫৩৩টি ফ্লাটের নির্মাণ কাজ চলছে। এছাড়া, বস্তিবাসীর জন্য আরো ১৬ হাজার ফ্লাট নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
|