রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এর ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দফা প্রস্তাব পেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে চার দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবনা গুলো হল - রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের হবে, বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণসমূহ বিবেচনায় আনতে হবে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।
|
এসডিজি নিয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে ‘লিডারস ডায়ালগ অন লোকালাইজিং এসডিজিস’ শীর্ষক সংলাপে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি দাতারা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে অটল থাকতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফোরামে দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি নিশ্চিত যে, সবাই মিলে সমাজের নিচের দিকে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছেও আমরা টেকসই উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে পারি।”
|
সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সহযোগিতার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের ইকোসোক চেম্বারে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি (ইউএইচসি)’র ওপর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি অর্জনে অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি অর্জনের অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার ভিত্তি।’
|
ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানো সেরা ২০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
বিশ্ব ব্যাংকের বিচারে গত এক বছরে ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানো সেরা ২০টি দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মোট ১০টি ক্ষেত্রে উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়। ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটিয়েছে। তালিকায় অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের তিন প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। আরও আছে সৌদি আরব, কুয়েত, জর্ডান এবং কাতার।
|
এডিবির পূর্বাভাস প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ
‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯’ প্রতিবেদন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রফতানি বাড়বে। একইসঙ্গে সহজ মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও বাড়বে। ব্যবসায় পরিবেশ উন্নত করতে চলমান সংস্কার এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুবাদেও বাড়বে প্রবৃদ্ধি। তবে উচ্চতর প্রবাসী আয়ের কারণে বাড়বে ভোগব্যয়।
|
রফতানিতে ৩৭ পণ্য ও খাত নগদ সহায়তা পাবে
দেশের রফতানি খাতকে উৎসাহিত করতে চলতি অর্থবছরে নগদ সহায়তার খাত ও হার বাড়ানো হয়েছে। গত অর্থবছরে রফতানিতে ৩৫টি পণ্য ও খাতে ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। এই অর্থবছরে আগের ৩৫টি পণ্যের সঙ্গে নতুন করে তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেবে সরকার। এ ছাড়া কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যপ্লায়েন্স পণ্য খাতে রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে এই অর্থবছরে নগদ সহায়তা পাবে মোট ৩৭টি পণ্য ও খাত।
|
চা উৎপাদনে বাংলাদেশের বিশ্ব রেকর্ড
চা শিল্পে সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধনের ফলে গত বছরের চেয়ে এবার দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে রেকর্ড পরিমানে। শুধু দেশে নয় বিগত জুলাই মাস পর্যন্ত বিশ্বের চা উৎপাদনকারী দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে সবার উপরে। গত বছরের চেয়ে চলামান বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৮.৫৪% বেশি চা উৎপাদন হয়েছে। আর নিকটতম অবস্থানে রয়েছে ভারত (৫.৭৬%)। আর এ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত থাকলে এবছরের লক্ষমাত্রা ৯০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
|
ঢাকার চারপাশে আউটার রিং রোড নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার
রাজধানীর যানজট নিরসনে ঢাকার চারপাশে আউটার রিং রোড নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ১০ হাজার ২শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তিনি বলেন, জাপানের সাথে জিটুজি ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে ঢাকার চারপাশে আউটার রিং রোড পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মোট তিনটি রুটে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। পিপিপির আওতায় ডিজাইন, বিল্ড, ফাইন্যান্স, অপারেটর ও ট্রান্সফার পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
|
এক মাসে ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ২০ লাখ
দেশে এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ২০ লাখ ৪০ হাজার। এ বছরের জুলাই মাসের শেষে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৬১ লাখ ৭৬ হাজার। তার ঠিক এক মাস পরে (গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত) এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজারে। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই নয়, দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে।
|
শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন
দেশের সকল টেলিভিশন চ্যানেল আগামী ২ অক্টোবর থেকে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে পূর্ণাঙ্গভাবে তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করবে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)। এর আগে গত ১৯ মে বিসিএসসিএল এর সাথে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল সময় টিভি, যমুনা টিভি, দীপ্ত টিভি, বিজয় বাংলা, বাংলা টিভি ও মাই টিভির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। পাশাপাশি বিটিভির চারটি চ্যানেলও অনুষ্ঠান সম্প্রচারে এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে।
|